অনুবাদ: রাফিদ আরিয়ান | নিউজল্যান্ডে মসজিদে হামলার পর এক খ্রিষ্টান মা তার দুই কন্যাসহ ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমান হয়েছেন এবং আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই হাজার হাজার মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আসবেন ইনশাআল্লাহ। ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে এবং যারা ইসলাম গ্রহণ করতে চায় তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
এই লেখাটি যেদিন প্রকাশিত হয়েছিল সেদিন যোহরের নামাজের পর এই তিনজন মহিলা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। গত মাসে আরেকজন তার রাগবি খেলোয়াড় বন্ধুসহ মসজিদে হামলার পর ইসলাম গ্রহণ করেন। আল-নুর মসজিদে হামলার ১০ দিনের মধ্যে একজন বিখ্যাত রাগবি খেলোযাড় ওফা তু’নাফাসি মুসলমান হন। সকল টঙ্গো বংশদ্ভুত কৃষ্ণ রাগবি খেলোয়াড় তাদের সহযোদ্ধা নওমুসলিম সনি বিল উইলিয়ামস্ এর সাথে ক্রাইস্টচার্চ এর সন্ত্রাসী হামলায় আক্রান্তদের দেখতে হাসপাতালে যান। জনাব সনি বিল উইলিয়ামস আক্রমণের শিকার ক্ষতিগ্রস্থদের তার অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্ল্যেখ করেন এবং তাদের দ্রুততর আরোগ্যের জন্য দোয়া করেন। রাগবি খেলোয়াড় সনি বিল হাসপাতালে তার এক বন্ধুর মৃত্যু দেখে সম্প্রতি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
মার্চ ১৫, ২০১৯ সালে একজন শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে প্রবেশ করে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ৫০ জন নিরীহ মুসলমানকে হত্যা করে। এর কারণে নিরীহ মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রতি সকলেই সহানুভুতি প্রকাশ করেন। কিন্তু, এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটলো যখন সারাবিশ্বে মুসলমানরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ইতিবাচকভাবে, নিউজিল্যান্ডে এখন দলে দলে মানুষ মানবতা এবং শান্তির ধর্ম ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। একসাথে অনেক লোকের ইসলাম গ্রহণের মতো ঘটনাও ঘটছে। আল্লাহ মসজিদের হামলায় শাহাদাতবরণকারীদেরকে কবুল করুন এবং যারা নতুনভাবে ইসলাম গ্রহণ করছেন তাদেরকে শক্তিশালী ঈমান দান করুন। আমীন।
নিউজিল্যান্ডে দলে দলে মানুষের ইসলাম গ্রহণকে যদিও গুজব হিসেবে বলা হচ্ছে, কিন্তু এটি অত্যন্ত বাস্তব একটি বিষয় যা ঘটছে। একটি চরম আতঙ্কজনক হত্যাকান্ডের পর মুসলমানরা নতুন নতুন মানুষ পেয়ে তাদের মনোবল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে তাদের মানুষিক কষ্ট-যন্ত্রণা দূর হচ্ছে এবং তাদের পরিবারে স্বস্তি ফিরতে ইট সহায়তা করছে। ইসলাম গ্রহণের কিছু ঘটনাকে কিছু মানুষ ফেইক নিউজ হিসেবে বলার চেষ্টা করছে এবং তারা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কিন্তু, নিউজল্যান্ডে ব্যাপক সংখ্যায় মানুষের ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি সত্য এবং একটি বাস্তবতা।