ইসলাম পাঁচটি স্তম্ভের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। নামাজ, রোজা ও জাকাতের মতো হজও একটি অত্যাবশ্যকীয় ফরজ ইবাদত এবং এটি ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইসলামের ভিত পাঁচটি জিনিসের ওপর স্থাপিত আছে। (১) এই সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মা’বুদ (উপাস্য) নেই এবং মুহাম্মদ আল্লাহর প্রেরিত মহাপুরুষ, (২) নামাজ কায়েম করা, (৩) জাকাত প্রদান করা, (৪) বায়তুল্লাহর হজ করা এবং (৫) মাহে রমজানের সিয়াম পালন করা।
শরিয়তের অন্যান্য ইবাদত সাধারণত হয়তো শারীরিক পরিশ্রম বা অর্থের সাথে জড়িত, তবে এ ক্ষেত্রে হজ সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ হজ একই সাথে আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। হজ মুসলিম বিশ্বের সর্ববৃহৎ ইসলামী মহাসম্মেলন। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিম সাদা-কালো, উঁচু-নিচু, লম্বা-বেঁটের বিভেদ ভুলে এক কাতারে দাঁড়িয়ে ‘লাব্বাইকা আল্লাহুমা’ ধ্বনি তুলে আকাশ বাতাস মুখরিত করে তোলে। এ যেন নশ্বর পৃথিবীতে এক খণ্ড জান্নাত।
হজ পরিচিতি
হজ আরবি শব্দ। অর্থ: ইচ্ছা করা, সঙ্কল্প করা, সাক্ষাৎ করা, নিয়ত করা, দর্শন করা ইত্যাদি।
আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তোষ লাভের আশায় হজের নির্ধারিত সময়-সীমার মধ্যে নির্ধারিত কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য পবিত্র ‘বাইতুল্লাহ’ তথা কাবা শরিফ জেয়ারত করাকে ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় হজ বলা হয়।
হজের নির্ধারিত সময় হলো ‘আশহুরে হুরুম’ বা হারাম মাসগুলো তথা শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ; বিশেষত ৮ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত ৫ দিন।
হজ শব্দটা আরবি হওয়ায় কুরআন ও হাদিসে অসংখ্যবার এর উল্লেখ লক্ষণীয়। যেমন- আল্লাহ তায়ালা বলেন, হজের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস আছে। যে ব্যক্তি সেসব মাসে নিজের ওপর হজ অবধারিত করে নেয় সে হজের সময় কোনো অশ্লীল কথা বলবে না, কোনো গুনাহ করবে না এবং ঝগড়া করবে না, তোমরা যা কিছু সৎকর্ম করবে আল্লাহ তায়ালা তা জানে। (সূরা বাকারা : ১৯৭)
হজের সাথে পবিত্র কাবা শরিফ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কাবা প্রদক্ষিণ হজের অন্যতম আবশ্যক কর্ম। আর এই পবিত্র কাবা হলো নশ্বর এ পৃথিবীতে নির্মিত প্রথম ইবাদতখানা। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে মানুষের জন্য সর্বপ্রথম যে ইবাদত গৃহটি নির্মিত হয় সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত এবং এটি সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময়। (সূরা আলে ইমরান : ৯৬)
নবী (সা) এর জন্মের পূর্বেও মক্কার লোকদের কাছে কাবা শরিফ প্রদক্ষিণ খুব মহৎ হিসেবে সমাদৃত ছিল। কাবা শরিফের মর্যাদা যে অনেক আগে থেকেই সমাদৃত তার প্রমাণ আল্লাহর বাণী, যা তিনি কুরআন অবতীর্ণ হওয়ারও প্রায় ৩৫০০ বছর পূর্বে হজরত ইবরাহিম (আ) এর প্রতি আদেশ করেছিলেন। মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ)কে লোকদের মাঝে হজের ঘোষণা দেয়ার জন্য আল্লাহ নির্দেশ প্রদান করেন। যেমন- আল্লাহর বাণী- আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা প্রদান করো। তারা দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে এবং সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে সওয়ার হয়ে তোমার কাছে আসবে। (সূরা হজ : ২৭)
হজ যার ওপর ফরজ
হজ অন্যান্য ইবাদতের মত সমভাবে সবার জন্যই ফরজ নয়। কোন ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ হওয়ার জন্য শর্ত হলো পাঁচটি। যদি এ পাঁচটি শর্ত কারো মাঝে পাওয়া যায় তবেই কেবল তার ওপর হজ করা ফরজ। নতুবা নয়।
শর্তগুলো হলো
১. মুসলিম হওয়া: হজ ফরজ হওয়ার জন্য প্রথম শর্ত হলো সে ব্যক্তিকে অবশ্যই মুসলিম হতে হবে। আর এটি শুধু মাত্র হজ নয় বরং ইসলামী শরিয়তের সকল ইবাদতের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। কোন অমুসলিমের ওপর হজ আবশ্যক নয়।
২. জ্ঞানবান হওয়া: হজ ফরজ হওয়ার জন্য দ্বিতীয় শর্ত হলো সে ব্যক্তিকে অবশ্যই জ্ঞানবান তথা বুদ্ধিসম্পন্ন হতে হবে। কোন পাগল বা কাণ্ডজ্ঞানহীন ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ নয়।
৩. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া: কোন ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ হওয়ার জন্য তৃতীয় শর্ত হলো সে ব্যক্তিকে অবশ্যই প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে। কেননা কোন নাবালেগ শিশুর ওপর শরিয়তের হুকুম প্রযোজ্য নয়। যেমন- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, “তিন শ্রেণীর লোকের ওপর থেকে (শরয়ি দায়িত্বের) কলম তুলে নেয়া হয়েছে। ঘুমন্ত ব্যক্তি; সজাগ না হওয়া পর্যন্ত। শিশু; তার স্বপ্নদোষ না হওয়া পর্যন্ত। পাগল; তার হুঁশ ফিরে না আসা পর্যন্ত।” (সুনানে আবু দাউদ : ৪৪০৩)
৪. স্বাধীন হওয়া: হজ ফরজ হওয়ার জন্য সে ব্যক্তিকে অবশ্যই স্বাধীন তথা মুক্ত হওয়া আবশ্যক? অতএব, ক্রীতদাসের ওপর হজ নেই। যেহেতু ক্রীতদাস তার মনিবের অধিকার আদায়ে ব্যস্ত।
৫. সামর্থ্য থাকা: আল্লাহ তাআলা বলেন, “এ ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌঁছার।” (সূরা আলে ইমরান : ৯৭) আয়াতে কারিমাতে উল্লিখিত সামর্থ্য শারীরিক সামর্থ্য ও আর্থিক সামর্থ্য উভয়টাকে অন্তর্ভুক্ত করে।
হজের সামর্থ্য হলো- ব্যক্তি শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়া এবং বায়তুল্লাহতে পৌঁছার মত যানবাহন যেমন- বিমান, গাড়ি, সওয়ারি ইত্যাদির মালিক হওয়া অথবা এগুলোতে চড়ার মত ভাড়ার অধিকারী হওয়া এবং যাদের ভরণপোষণ দেয়া ফরজ তাদের খরচ পুষিয়ে হজে আসা-যাওয়া করার মতো সম্পত্তির মালিক হওয়া এবং নারীর ক্ষেত্রে হজ বা উমরার সফরসঙ্গী হিসেবে স্বামী বা মোহরেম কেউ থাকাও এ শর্তের অন্তর্ভুক্ত।
শর্তগুলো পূরণ হলে সাথে সাথেই তার ওপর হজ পালন করা ফরজ হয়ে যায়। তবে আমাদের সমাজের বহুলোক হজ ফরজ হওয়ার পরও বয়স হয়নি, ছেলেমেয়ের বিয়ে বাকি, ব্যাবসায়িক ব্যস্ততা ইত্যাদি নানান অজুহাতে হজ পালনে বিলম্ব করে যা কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং এটা অপরাধ। যেমন বিশ্বনবীর বাণী, হযরত ইবনে আব্বাস (রা) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা (ফরয) হজ পালনে ত্বরা কর। যেহেতু তোমাদের কেউ জানে না যে, তার সম্মুখে কোন অসুবিধা এসে উপস্থিত হবে।
হজের প্রকারভেদ
হজ তিন প্রকার। যথা: ১. হজে ইফরাদ, ২. হজে কিরান ও ৩ হজে তামাত্তু।
হজে ইফরাদ: শুধু হজের ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পন্ন করলে একে ‘হজে ইফরাদ’ বা একক হজ বলা হয়।
হজে কিরান: হজ ও ওমরাহর জন্য একত্রে ইহরামের নিয়ত করে একই ইহরামে তা সম্পন্ন করলে তাকে ‘হজে কিরান’ বা যৌথ হজ বলা হয়।
হজে তামাত্তু: এবং একই সফরে প্রথমে ওমরাহর ইহরামের নিয়ত করে, তা সম্পন্নপূর্বক হজের জন্য নতুন করে ইহরামের নিয়ত করে তা সম্পাদন করাকে ‘তামাত্তু হজ’ বা সুবিধাজনক হজ বলা হয়।
হজের ফরজ
হজের ফরজ তিনটি। যথা:
১. ইহরামের নিয়ত বা ইচ্ছা করা।
২. অকুফে আরাফা করা তথা ৯ জিলহজ জোহর থেকে ১০ জিলহজ ফজরের পূর্ব পর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা।
৩. তাওয়াফে জিয়ারত করা তথা ১০ জিলহজ ভোর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় কাবাঘর তাওয়াফ বা সাতবার প্রদক্ষিণ করা।
হজের ওয়াজিব
হজের ওয়াজিব সাতটি। যথা:
১. আরাফাত থেকে মিনায় ফেরার পথে মুজদালিফা নামক স্থানে ১০ জিলহজ ভোর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কিছু সময় অবস্থান করা।
২. সাফা ও মারওয়া সাই করা বা দৌড়ানো।
৩. ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ জামরায় শয়তানকে পাথর মারা।
৪. তামাত্তু ও কিরান হজে কোরবানি করা।
৫. মাথার চুল কামিয়ে বা কেটে ইহরাম খোলা।
৬. বিদায়ী তাওয়াফ করা।
৭. মদিনা শরিফে রওজাতুন নবী (সা) জিয়ারত করা। (আসান ফিকাহ, ইউসুফ ইসলাহি, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা : ২৫১)
হজের সুন্নাত
উপরোক্ত কার্যাবলি ব্যতীত হজের অবশিষ্ট কার্যাবলি ও কথামালা হচ্ছে- সুন্নত। যেমন, তাওয়াফে কুদুম, আরাফার রাত্রিতে মিনাতে রাত্রিযাপন করা, যথাযথ সময়ে ইযতিবা ও রমল করা, হাজরে আসওয়াদকে চুমু খাওয়া, দোয়া ও জিকির পড়া, সাফা-মারওয়া পাহাড়ে আরোহণ করা ইত্যাদি।
হজের শরয়ি মর্যাদা
হজ ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় অন্যতম একটি ফরজ ইবাদত। নবম হিজরিতে হজ ফরজ করা হয়। হজ ফরজ হওয়ার পরে দশম হিজরিতে নবী (সা) সপরিবারে হজ পালন করেন, যা ইসলামের ইতিহাসে বিদায় হজ নামে পরিচিত। হজ অস্বীকার কুফরির শামিল। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ ঘরের হজ সমাপন করা তাদের অবশ্যই কর্তব্য। যারা সেখানে যাবার সামর্থ্য রাখে এবং যদি কেউ অবিশ্বাস করে অর্থাৎ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ না করে তাহলে সে জেনে রাখুক আল্লাহ বিশ্বজগতের কোনো কিছুরই মুখাপেক্ষী নন। (৩: ৯৭)
হজের কার্যাদির ব্যাপারে ইঙ্গিত প্রদানপূর্বক আল্লাহ তায়ালা বলেন,
নিঃসন্দেহে সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তা’আলার নিদর্শনগুলোর অন্যতম। সুতরাং যারা কাবা ঘরে হজ বা ওমরাহ পালন করে, তাদের পক্ষে এ দু’টিতে প্রদক্ষিণ করাতে কোন দোষ নেই। বরং কেউ যদি স্বেচ্ছায় কিছু নেকির কাজ করে, তবে আল্লাহ তাআলার অবশ্যই তা অবগত হবেন এবং তার সে আমলের সঠিক মূল্য দেবেন। (সূরা বাকারা: ১৫৮)
যারা মানুষকে মসজিদে হারাম থেকে বাধার সৃষ্টি করে আল্লাহ তায়ালা তাদের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,
যারা অবিশ্বাস করে এবং মানুষকে নিবৃত্ত করে আল্লাহর পথ হতে ও ‘মাসজিদুল হারাম’ হতে; যাকে আমি করেছি স্থানীয় ও বহিরাগত সবারই জন্য সমান। আর যে ওতে সীমালংঘন করে পাপকার্যের ইচ্ছা করে, তাকে আমি আস্বাদন করাব মর্মন্তুদ শাস্তি। (সূরা হজ: ২৫)
পবিত্র কোরআনের পাশাপাশি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা) অসংখ্য হাদিসে হজের গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করেছেন তার কিছু নিচে উল্লেখ করা হলো।
১. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ কথা বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি (আল্লাহর জন্য) হজ পালন করল এবং (তাতে) কোনো অশ্লীল কাজ করল না ও পাপাচার করল না, সে ব্যক্তি ঠিক ঐ দিনকার মত (নিষ্পাপ হয়ে) বাড়ি ফিরবে, যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল। (বুখারি ও মুসলিম)
২. ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা হজকে উমরাহ ও উমরাহকে হজের অনুগামী কর। (অর্থাৎ হজ করলে উমরাহ ও উমরাহ করলে হজ কর।) কারণ, হজ ও উমরাহ উভয়েই দারিদ্র্য ও পাপরাশিকে সেইরূপ দূরীভূত করে যেরূপ (কামারের) হাপর লোহার ময়লাকে দূরীভূত করে ফেলে। (নাসাঈ ও তিরমিযি)
৩. হযরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একটি উমরাহ পরবর্তী উমরাহ পর্যন্ত ঐ দুয়ের মধ্যবর্তী সময়ে কৃত পাপরাশির জন্য কাফফারা (মোচনকারী) হয়। আর ‘মাবরূর’ (বিশুদ্ধ বা গৃহীত) হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়। (বুখারি ও মুসলিম)
৪. হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, আরাফার দিন অপেক্ষা এমন কোন দিন নেই, যেদিন আল্লাহ সর্বাধিক বেশি সংখ্যায় বান্দাকে দোযখমুক্ত করেন। (মুসলিম)
৫. আবু সাঈদ খুদরি (রা) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ আযযা অজাল্লা বলেন, যে বান্দাকে আমি দৈহিক সুস্থতা দিয়েছি এবং আর্থিক প্রাচুর্য দান করেছি, অতঃপর তার পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়ে যায় অথচ আমার দিকে (হজব্রত পালন করতে) আগমন করে না, সে অবশ্যই বঞ্চিত।
পরিশেষে মহান রবের কাছে অশ্রুসিক্ত নয়নে হৃদয়ের গভীর থেকে আকুতি আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে হজে মাবরুর করার তাওফিক দিক। সুযোগ করে দিক গুনাহে জর্জরিত এই আমাদের কাবা তওয়াফ করে হজরে আসওয়াদ চুম্বুনের। আল্লাহুম্মা আমিন।
মাহমুদুল হাসান | শিক্ষক | মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ