জন্মেছিলেন এক বৌদ্ধ(এবং Chinese) পরিবারে। ছোট বেলা থেকেই বৌদ্ধ মন্দিরে সময় দিতেন এবং খুবই ধার্মিক ছিলেন। সব সময় সততা, ন্যায়, মানবতা এসব নিয়েই আগ্রহ ছিল।
সত্যের সন্ধানে তিনি গবেষণা করা শুরু করলেন, Christianity- নিয়েও পড়াশুনা করেন, এভাবে এক সময় তিনি “ইসলাম” সম্পর্কে জানতে পারেন সেই আনুমানিক ১৯৬০-এর দশকে। ঐ সময় তার আশে পাশের কিছু মুসলিমের কাছে তিনি কোরআন সম্পর্কে জানতে চাইলেন কিন্তু দুঃখের বিষয় হল ,তাদের একটা ভুল ধারণা ছিল যে- কুরআন শুধু মুসলিম দের জন্য। তাই তাদের কাছ থেকে তিনি যখন কুরআন পড়তে চাইলেন তখন তারা উল্টো জবাব দিল- কুরআন নাকি শুধু মুসলিম দের জন্য, তাই তিনি এটা পড়তেও পারবেন না!
এই কথা শুনে তিনি কষ্ট পেলেন, চিন্তা করতে লাগলেন কিভাবে ইসলাম সম্পর্কে জানবেন। এরপর তিনি “উমার (রাঃ)” এর জীবনী নিয়ে একটি বই পরা শুরু করলেন, এবং এই ব্যাপারটা তাকে ভাবিয়ে তুলল যে কেন উমার (রাঃ) ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন – যেই মানুষটি কিনা মুহাম্মাদ (সাঃ) কে হত্যা করতে বেরিয়েছিলেন তিনি কিভাবে শেষ পর্যন্ত ইসলামকে কবুল করে নিলেন। শুধু তাই না পরবর্তী জীবনেও তিনি একজন ন্যায়, সৎ মানুষ ছিলেন, এই কথা গুলো নিয়ে ভাবতে লাগলেন এবং ইসলাম নিয়ে আরও পড়াশুনা শুরু করলেন।তারপর ১৯৬৮ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
পরিশুদ্ধ এবং আরও গভীর ইসলামিক জ্ঞানের জন্য চলে যান মদিনাতে। সেখানে ভর্তি হয়ে যান মদিনা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তার পড়াশুনা করার সুযোগ হয়েছিল বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত আলিম এবং মুহাদ্দিস (Scholar of Hadith) “ইমাম নাসির উদ্দিন আলবানী”-এর কাছে । পড়াশুনা শেষে তিনি ইসলামের আলো অমুসলিম ভাই-বোন দের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কাজ শুরু করেন। তিনি Paris (France), Kuala Lumpur (Malaysia), Honkong-সহ বিভিন্ন দেশে ইসলামিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন ইসলামের শান্তির এই বানী অমুসলিমদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য, সাথে যারা নতুন মুসলিম হতো তাদেরও ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান দেয়ার কাজে সময় দিতেন। এছাড়া অনেক আন্তর্জাতিক ইসলামিক টিভি চ্যানেলে বক্তব্য রেখেছেন।
Chinese- বংশদ্ভুত এবং মালেশিয়ার নাগরিক , “শেখ হুসাইন ই” -এখন মালেশিয়াতে রয়েছেন। সেখানে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে তিনি ইসলামের সঠিক জ্ঞান প্রচারের জন্য সময় দেন, এর পাশাপাশি Social Work- ও করেন নিয়মিত।
তার এই জ্ঞানগর্ব আলোচনাটি শুনতে পারেন…