মানুষের কল্যাণেই আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিম নাজিল করেছেন। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এ কুরআনের দাওয়াত দিতেই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।
কুরআনের আলোকে প্রিয়নবি মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন অসংখ্য নসিহত। আন্ধকার সমাজে উপহার দিয়েছেন সোনালী মানুষ। যাদের দুনিয়া ও পরকাল সফলতায় আলোকিত।
দুনিয়া ও পরকালে মানুষের সফলতা, ব্যর্থতা ও আল্লাহর সাহায্য লাভের উপায় এবং দিক-নির্দেশনা প্রদান করে বলেন-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পিছনে (আরোহী অবস্থায়) ছিলাম।
তিনি বললেন, ‘হে বালক! আমি তোমাকে কিছু কালিমা শিখিয়ে দিচ্ছি-
>> ‘আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধানের হেফাজত করবে; তাহলে তিনি তোমার হেফাজত করবেন।
>> আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্টির ব্যাপারে সর্বদা খেয়াল রাখবে, তাহলে তাঁকে তুমি তোমার (সাহায্য-সহযোগিতায়) সামনে পাবে।
>> যখন সাহায্যের প্রয়োজন হবে তখন আল্লাহ তাআলার কাছেই সাহায্য চাইবে। (গোটা দুনিয়ার) সব লোক যদি তোমার উপকার করতে একত্রিত হয়, তবে আল্লাহ তাআলা তকদিরে যা লিখে রেখেছেন সে টুকু ছাড়া কেউই তোমাকে কোনো উপকার করতে পারবে না।
আর সব লোক যদি একত্রিত হয়ে তোমার ক্ষতি করতে চেষ্টা আল্লাহ তাআলা তোমার তকদিরে যা নির্ধারণ করে রেখেছেন, তাছাড়া কোনো ক্ষতিই করতে পারবে না। কেননা কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, কাগজগুলো শুকিয়ে গেছে। (তিরমিজি)
হাদিসের শিক্ষা
উল্লেখিত হাদিসের আলোকে বুঝা যায়
>> আল্লাহর বিধি-বিধানের হেফাজত করা আবশ্যক।
>> আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে তাঁর বিধানের খেয়াল রাখা।
>> দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় বিষয়ে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাওয়া।
যারা উল্লেখিত বিষয়গুলো হাদিসের আলোকে বাস্তবায়ন করবে, আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও পরকালে তাদেরকেই হেফাজত করবেন।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ হাদিসের ওপর পরিপূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার বিধি-বিধান হেফাজত এবং খেয়াল রাখার পাশাপাশি তাঁরই সাহায্য কামনা করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের একান্ত দাবি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় কল্যাণ লাভে এ হাদিসের ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।