যখন কোন ব্যক্তি তাওবার যাবতীয় শর্তপূরণ করে খালেসভাবে আল্লাহর দরবারে তাওবা করেন এবং গুনাহ মাপ চান, তখন আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই তার তাওবা কবুল করেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন। তবে যখন কোন ব্যক্তি তাওবা করে, তার তাওবা কবুল হল কিনা তার কিছু আলামত আছে। যেমন-
এক- তাওবা করার পর লোকটির মধ্যে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। যেমন, সে এখন পূর্বের যে কোন সময়ের তুলনায় অধিক নম্র, ভদ্র ও নমনীয়, পূর্বের তুলনায় অধিক নেক আমল করে, খারাপ সঙ্গীদের সাথে মিশে না, ভালো লোকদের সাথে উঠা-বসা করে এবং গুনাহের কর্ম ও পাপাচার থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করে।
দুই- সব সময় আল্লাহর পাকড়াও ও আযাবের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। এক মহুর্তের জন্যও সে আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিজেকে নিরাপদ মনে করে না। সে মনে করে যে কোন সময় আল্লাহ আমাকে পাকড়াও করতে পারে। মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত আল্লাহর ভয় তার অন্তরে বিদ্যমান থাকে।
তিন- লোকটি সব সময় ইতিপূর্বে যে সব অপরাধ করেছে, তার উপর অত্যন্ত লজ্জা অনুভব করতে থাকে। সে সব সময় আফসোস করতে থাকে আর বলতে থাকে- হায় এ অন্যায় কাজটি আমি কেন করলাম! আমি যদি এ কাজটি না করতাম! কতই না ভালো হত! কারণ যে ব্যক্তি দুনিয়াতে তার অপকর্মের উপর লজ্জিত হবে না এবং আফসোস করবে না, আখেরাতে যখন সে আল্লাহর নেক বান্দাদের আমলের সাওয়াব ও বিনিময় এবং অবাধ্য বান্দাদের শাস্তি দেখতে পাবে, তখন সে লজ্জিত হবে এবং আফসোস করবে। কিন্তু তখন তার লজ্জা ও আফসোস কোন কাজে আসবে না।